সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
মেয়াদহীন কমিটি দিয়ে চলছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে কমিটির পূর্নগঠন না হওয়ায় স্থবির হয়ে পরে আছে রাজনৈতিক কর্মকান্ড। এক যুগেরও বেশী সময় আগে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ গঠিত হলেও এরপর থানা আওয়ামী লীগের কোন কমিটি হয়নি।
এক কমিটি দিয়ে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় কমিটিতে থাকা অনেক নেতা এখন নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে সক্রিয় পদ প্রত্যাশীরা দলে পদে আসতে না পারায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নেমে এসেছে হতাশা। দলে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। তবে আসন্ন ইদ উল ফিতরের পর নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী।
বছর দুইয়েক আগে কমিটি গঠন নিয়ে বেশ তোড়জোর শুরু হলেও জেলা কমিটি গঠনপ্রক্রিয়ার কারণে তা থেমে যায়। থানা কমিটির সভাপতি স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দেবার ঘোষণার পরে আবারও নিজের ঘোষণা থেকে সরে আসেন। ফলে এ নিয়ে আলোচনা আগালেও ফের থেমে যায়। জেলা কমিটির পূনাঙ্গ কমিটি ঘোষনা হবার পর ফতুল্লার নতুন কমিটি ঘোষনা হবার কথা থাকলেও তা এখনো দৃশ্যমান নয়।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ বর্তমানে অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কাধে ভর দিয়ে চলছে। সাইফুল্লাহ বাদল অসুস্থ থাকায় তিনি আগের মতো সময় দিতে পারছেন না। যে কারণে দিনে দিনে থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তাই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি দ্রুত পূর্নগঠনের দাবি তুলেছে তৃনমূল।
অপরদিকে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ পূর্নগঠন প্রক্রিয়া থমকে থাকায় দলে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসতে পারছে না এমন দাবি দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। এছাড়া দলের মধ্যে নেতৃত্বেরও সংকট দেখা দিয়েছে।
বোদ্ধা মহলের মতে, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগকে নতুন করে ঢেলে সাজানো না হলে দলের মধ্যে হতাশা, ক্ষোভের পাশাপাশি নেতৃত্ব সংকট আরো প্রকট হয়ে দাঁড়াবে। এ থেকে উত্তরণে এখনই কমিটি গঠন করা প্রয়োজন।
মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হলেও বর্তমানে এ কমিটির বেশির ভাগ নেতা নিস্ক্রিয়। যে কারণে থানা আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের উপর নির্ভরর্শীল হয়ে পড়েছে। এছাড়া বয়সের ভারে ন্যুজ সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল মাঠ পর্যায়ে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন। মাঝে মধ্যে শওকত আলীকেও দলীয় কর্মকা-ে দেখা যায়।
সূত্র জানায়, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল প্রায় অসুস্থ। এক্ষেত্রে থানা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী থানা কমিটির সভাপতি হওয়াটা এখন সময়ের ব্যাপার। এ বিষয় সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী বলেছেন, আমাদের কমিটির মেয়ার শেষ হয়েছে। আওয়ামীলীগের সদস্য ফরমের কার্যক্রম চলছে সেগুলা সম্পূর্ণ হলেই ইদের নতুন কমিটির কাজ শুরু হবে।
সভাপতি পদে আপনার নাম শুনা যাচ্ছে, আপনি কি সভাপতি হতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমার আর বাদল ভাইয়ের মধ্যে সব সময় সমন্বয় ছিলো ভবিষৎ থাকবে। যেহেতু রাজনীতি করি নেতারা যদি আমাকে সভাপতি বানাতে চায় তাদের সম্মান করবো।
তবে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক হতে মরিয়া থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল ইসলাম, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ লিটন। থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম ইসহাক। তবে দলের তৃনমূলের দাবি, যাদের হাতে দলের নেতৃত্বে গেলে দল চাঙ্গা হবে তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। থানা কমিটির স্থবিরতা কাটাতে দ্রুত জেলা কমিটির হস্তক্ষেপ চাইছেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা।